Category Archives: নেটওয়ার্কিং
আপনি কি জানেন সিম ক্লোন কি? আপনি কিভাবে শিকার হতে পারেন সিম ক্লোনের?

আপনি একটি সিম যেটি ব্যবহার করছেন সেই সিম টি যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে কিংবা এক নাম্বার যদি দেখেন এক সাথে দুইজন ব্যবহার করে কিংবা হঠাৎ করে যদি দেখেন আপনার সেল ফোনের কানেকশন নাম্বার থেকে কোন কারন ছাড়া ব্যালান্স কমে যাচ্ছে তবে বুঝবেন যে আপনি সিম ক্লোনের শিকার হয়েছেন।
যদি অপরিচিত কোন নাম্বার থেকে আপনি মিসড কল পান এবং সেটাতে যদি কল ব্যাক করেন তবে আপনি সিম ক্লোনিং এর শিকারে পরিনত হতে পারেন। দুষ্কৃতকারীরা বিশেষ একটি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনার নাম্বার টি ক্লোনিং করে। অর্থাৎ আপনি যখন মিসড কল নাম্বারে কল ব্যাক করবেন তখন একটি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনার নাম্বার টি ক্লোন হতে পারে। সিম ক্লোনিং হলে আপনার সিমে রাখা ডাটা ক্লোন নাম্বারে চলে যাবে। এবং আপনার প্রাইভেসি ক্ষুণ্ণ হবে।৩- যে সমস্যায় আপনি পড়তে পারেন সিম ক্লোনিং হয়ে গেলে?
দুষ্কৃতিকারীরা আপনার নাম্বার টি ব্যবহার করে আপনার জীবন বিপন্ন করতে পারে। অর্থাৎ ওই নাম্বার দিয়ে কেউ কাউকে মৃত্যুর হুমকি, চাঁদাবাজি কিংবা জঙ্গি কানেকশন করলে আপাত দায়ভার আপনার উপর বর্তাবে। কাজেই আপনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধৃত হবেন। পরবর্তীতে আরও নানাবিধ সমস্যায় পড়তে পারেন।লক্ষ্য করুন———–
* ভারতে সম্প্রতি এক লাখ সিম ও রিম কার্ড ক্লোনিং হয়েছে। সেখানকার গোয়েন্দা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে ওই ক্লোনিং সিম বা রিমের মাধ্যমে অনেক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
* বাংলাদেশে এখনও সিম ক্লোনিং হয়েছে বলে ৬ টি মোবাইল অপারেটরের হাতে এমন কোন তথ্য নেই। তবে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে কোন সময় এমন অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এ বিষয়ে যেভাবে সতর্ক হবেন –
* অপরিচিত নাম্বার থেকে মিসড কল এলে আপনি কল ব্যাক করার পূর্বে ভালো করে চিহ্নিত করবার চেষ্টা করুন যে এটি কার নাম্বার। অথবা কল ব্যাক করা বন্ধ করুন।
* মনে রাখবেন সিম ক্লোনিং হতে হলে মিসড কল আসবে। ডাইরেক্ট রিং হলে সেটি রিসিভ করলে আপনি সিম ক্লোনিং এর শিকার হবেন না। মিসড কল এলেই সতর্ক হন।
* যদি দেখেন আপনার সেল ফোনের ব্যালান্স অকারণে কমে যাচ্ছে সাথে সাথে কল সেন্টারে ফোন করে জানান।
* আপনার সেল ফোন টি এখনি বন্ধ করে অন্য একটি নাম্বার থেকে আপনার নাম্বারে ফোন দিন। দেখুন রিং হয় কিনা। রিং হলে আপনি সিম ক্লোনিং এর শিকার।
ডায়নামিক রাউটিং

ডায়নামিক রাউটিং হচ্ছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এক বিশেষ দিক। ডাইনামিক রাউট হলো সে সব রাউট যা সময়ের সাথে সাথে আপনা আপনি পরিবর্তন ঘটে। ফলে ম্যানুয়ালি কিছু করার প্রয়োজন হয় না। যেকোন রাউট পরিবর্তন হলে সেটি অটুমেটিক্যালী রাউটিং টেবিল এ যোগ হয়। আমরা যদি EIGRP নিয়ে জানার চেস্টা করি সেক্ষেত্রে মনে রাখা ভাল যে সিসিএনএ পরীক্ষায় EIGRP নিয়ে একটি সিমুলেশন থাকে । সুতরাং EIGRP সিসিএনএ পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
EIGRP এর বেসিক ধারণাঃ
EIGRP হলো এনহ্যান্সড ইন্টেরিয়র গেটওয়ে রাউটিং প্রোটোকল। ইহা এমন একটি প্রোটোকল যা আসলে লিংঙ্ক স্টেট রাউটিং প্রটোকলের বৈশিষ্ট্য আবার এটি ডিসট্যান্স ভেক্টর রাউটিং প্রটোকলের অনেক বৈশিষ্ট্যই ধারণ করে। এসব বিবেচনা করে EIGRP বলা হয় হাইব্রিড রাউটিং প্রটোকল। এখন প্রশ্ন হলো ডিসট্যান্স ভেক্টর রাউটিং প্রটোকল এবং লিংঙ্ক স্টেট রাউটিং প্রটোকল আসলে কি? ডিসট্যান্স ভেক্টর রাউটিং প্রটোকলে এর মাধ্যমে রাউটার জানতে পারে নেটওয়ার্কের প্রতিবেশী রাউটার সম্পর্কে এবং সকল রাউটারের অবস্থান সম্পর্কে অথার্ৎ কতটুকু দূরত্বে রাউটার গুলো অবস্থান করছে। আর লিংঙ্ক স্টেট রাউটিং প্রটোকল এর মাধ্যমে রাউটার জানতে পারে প্রতিটি লিংকের কষ্ট সম্পর্কে এবং বেস্ট পাথ সিলেক্ট করে থাকে ।
EIGRP এর সুবিধাগুলো হলো,
CIDR ও VLSM সাপোর্ট করে
EIGRP টপোলজি টেবিলে ব্যাকআপ পাথ রাখে ফলে কোন পাথে কোন সমস্যা ব্যাপআপ পাথ দিয়ে যোগাযোগ করে।
DUAL(Diffusing Update Algorithm) ব্যবহার করে প্রতিটি রাউটারের মান নির্ধারণ করে।
ডিফল্ট হপ কাউন্ট হলো-১০০
প্রতিবেশি রাউটারগুলোর মধ্যে hello ম্যাসেজ পাঠায়। সেই hello ম্যাসেজ এর উত্তরে জানতে পারে কোন রাউটার নেটওয়ার্কে একটিভ আছে । ফলে দ্রুত কনভার্জেন্স ঘটে।
চলেন এবার দেখি EIGRP কিভাবে কাজ করে?
প্রথমেই EIGRP প্যাকেট গুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি
১. হ্যালো – এই প্যাকেট এর মাধ্যমে প্রতিবেশী রাউটার এর সাথে রিলেশনশীপ তৈরী করে থাকে।
২. আপডেট – আপডেট ব্যবহার করা হয় রাউটিং টেবিলের আপডেট সেন্ড করার জন্য।
৩. কোয়েরি- যদি মেইন রাউট এ সমস্যা হয় তাহলে কোন ব্যাকআপ পাথ আছে কি না তা জানার জন্য কোয়েরি প্যাকেট সেন্ড করে।
৪. রিপ্লে- যদি কোন প্রতিবেশী রাউটার ব্যাপআপ পাথ প্রদান করে তা হলো রিপ্লে ম্যাসেজ প্রদান করে।
৫. একোনলেজমেন্ট- প্যাকেট রিসিভ করে একোনলেজমেন্ট প্যাকেট এর মাধ্যমে।
এখন দেখি কিভাবে রাউট আপডেট করে
মনেকরি ২টি রাউটারে EIGRP কনফিগার করা আছে। চলেন দেখি রাউটার ২ট অন করার সাথে সাথে কি ঘটনা গঠে
ধাপ-১: রাউটার-১ একটি হ্যালো ম্যাসেজ সেন্ট করবে রাউটার-২কে
ধাপ-২: রাউটার-২ হ্যালো ম্যাসেজ রিসিভ করে সে একটি হ্যালো ম্যাসেজ সেন্ড করবে রাউটার-১কে । রাউটার-২ সাথে রাউটিং আপডেট প্যাকেট সেন্ড করবে রাউটার-১ কে
ধাপ-৩: রাউটার-১ আপডেট প্যাকেট রিসিভ করার সাথে সাথে একটি এ্যাকুনলেজ ম্যাসেজ সেন্ড করবে রাউটার-২ কে । সাধারণত এভাবেই EIGRP তার প্রতিবেশী রাউটার গুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে ।