Machine Learning কিভাবে কাজ করে

মেশিন লার্নিং কীভাবে কাজ করে তা শুনতে আপনার কাছে এটি খুব আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। আপনারাদের মধ্যে সবাই নিশ্চয়ই অনলাইন শপিং করেছেন, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন ই-কমার্স ওয়েবসাইট ভিজিট করে এবং তাদের পছন্দের জিনিস কেনে। কারণ এখানে আপনি ব্র্যান্ড, রঙ, দামের সীমা এবং আরও অনেক কিছুর সীমাহীন পরিসর দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু আমাদেরও একটা ভালো অভ্যাস আছে যে আমরা আমাদের জিনিসগুলো এভাবে কিনি না, বরং অনেক জিনিস আগে দেখে সঠিকটা বেছে নিই। এটি দেখতে, আমাদের অনেক item খুলতে হবে।

ধরুন, একজনকে ফলো করছেন অনেকদিন ধরে। অফিসের কাজেই। কমপ্লায়েন্সের নিয়ম ধরে। ধারণা করছেন – উনি একটা কাজ করেছেন, তবে প্রমান করতে পারছেন না। বসে আছেন – উনি কবে ওই কাজটা করবেন আবার। অনেক সময় অল্প সময়ের ব্যবধানে ব্যাপারটা না ধরা গেলেও – জিনিসটা ‘স্কেল-আপ’ করলে ঠিক ঠিক পাওয়া যাবে আরো কিছু প্যাটার্ন। আসল কথা হচ্ছে, আমরা হয়তোবা জানি না তার রিদমটা কোথায়। মনে পড়ছে নাকি ডেক্সটারের কথা?
পৃথিবীর প্রতিটা জিনিসের একটা প্যাটার্ন আছে। হয়তোবা কোন কোনটা চোখে পড়ে আমাদের জীবদ্দশায়। আবার, অনেকগুলোর লাগে অনেক অনেক সময়। কয়েক হাজার বছর। তবে, বিশ্বাস করতে হবে – প্রতিটা জিনিসের আছে প্যাটার্ন। থাকতে হবে। দেখুন আমাদের গ্যালাক্সিকে। প্রতিটা গ্রহ, উপগ্রহ ছুটছে তাদের নিজ গতিতে। জোয়ার ভাঁটা। আমাদের শরীরের অথবা এই পৃথিবীর প্রতিটা অনু পরমাণুর ইলেক্ট্রন চলছে নিজের গতিতে। তাদের প্যাটার্নে। একটা হিসেবের মধ্যে।
অনেক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রেডিক্ট করেন তাদের বীমা গ্রহণকারীদের। করতে হয় ব্যবসার খাতিরে। কারণ, আমরা সবাই কারো না কারো প্রোডাক্ট। তারা প্রেডিক্ট করতে চান মানুষটা প্রিমিয়াম দিতে পারবেন কতোদিন। নিরীহ একটা প্রেডিকশন। ট্র্যাক করেন তার প্রতিটা অসুখের খবর, সেটার ট্রিটমেন্ট প্রসিডিউর। কি ঔষুধ নিয়েছেন। কি করেন – চাকরি না অবসর। দেয়া হয় প্রতিটা জিনিসের একটা ওয়েটেজ। বুঝতে পারছেন কি বলতে চাইছি আমি। একটা মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর হিসেব করতেই পারে তারা। কারণ, তার অসুখ বিসুখের খরচ যোগান তারাই। read more